
১৬ মাস পর ক্রিকেটে ফেরার গল্প শোনালেন এবাদত
খেলা ডেস্ক
০৮ জুন ২০২৫, ১৭:৩২
ঘরের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বল করতে গিয়ে হঠাৎ পায়ে টান পড়ে এবাদতের। ব্যথায় মাটিয়ে লুটিয়ে পড়া এবাদতকে সেই ম্যাচের পর দীর্ঘ সময় বাইশ গজে দেখা যায়নি। মাঝে এশিয়া কাপ ও একাধিক বিশ্বকাপে খেলার সুযোগও হাতছাড়া করেছেন এই পেসার। অবশেষে রিহ্যাব শেষে ১৬ মাস পর ফিরেছিলেন ক্রিকেটে।
এনসিএলের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে গেল বছর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন এবাদত। এরপর বিপিএলে বরিশালের হয়ে একাধিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মাঝে রিহ্যাবের অংশ হিসেবে জাতীয় দলের সঙ্গে ভারতে সফর করেছিলেন এই ফাস্ট বোলার। এরপর ডিপিএল ও ‘এ’ দলের হয়ে একাধিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
বাইশ গজে ফেরার পরেই এবাদতের ওপর চোখ রেখেছিলেন নির্বাচকেরা। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে খুব একটা উইকেট না পেলেও লাইন-লেন্থ আর বাউন্সে নিজের পুরনো ফর্ম দেখিয়েছেন এই পেসার। তাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন সিলেটের বোলার।
বাইশ গজে ১৬ মাস পরে ফিরলেও জাতীয় দলে এবাদত ফিরবেন ঠিক দুই বছর পর। ২০২৩ সালের ১৭ জুন সবশেষ ম্যাচ খেলা এই পেসার চলতি বছরের ১৭ জুন লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট দিয়ে পুনরায় জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে পারেন। তবে এবাদতের ফেরাটা এত সহজ ছিল না।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এবাদত তার ফেরার গল্প শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, মাঠের বাইরে থাকার সময়টা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমার হাঁটুর পাঁচটি জায়গায় সার্জারি করতে হয়েছিল। সাধারণত ফাস্ট বোলারদের একটা-দুটো ইনজুরি হয়, যেমন মেনিসকাস বা এসিএল। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে পাঁচটা।’
তিনি বলেন, ‘রিহ্যাব খুব কষ্টের ছিল। সেই দিনগুলো ভুলে যেতে চাই। আলহামদুলিল্লাহ, আজ আমি আবার মাঠে ফিরেছি। দুই বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকা সহজ ছিল না।’
এবাদত বলেন, ‘আমি হাল ছেড়ে দেওয়ার মানুষ না। চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলাম। জানতাম, আমি প্রথম না যে চোট থেকে ফিরে আসছি। হয়তো কারও ১২ মাস লাগে, আমার লেগেছে ১৬ মাস। কারণ বড় অপারেশন হয়েছিল। ডাক্তার শুরুতেই বলে দিয়েছিলেন, এটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার।’
তিনি আরও বলেন, ‘রিহ্যাবের ওপরই নির্ভর করবে ফিরে আসতে পারব কি না। আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি, ফিরবই ইনশাআল্লাহ। হাল ছাড়িনি।’
দুই বছর মাঠের বাইরে থাকা যে কতটা কষ্টের, সেটা ক্রিকেটাররাই ভালো বোঝেন। এবাদত সে অভিজ্ঞতা থেকে উঠে এসেছেন ধৈর্য আর পরিশ্রমে ভর করে। এখন শুধু অপেক্ষা, জাতীয় দলের হয়ে আবার নিজের সেরাটা তুলে ধরার। শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়েই নতুন এবাদতের সূচনা হতে পারে।
এমআই