
মাত্র ১২ বলেই থেমেছিল শচীনের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার, কিন্তু কেন?
খেলা ডেস্ক
০৯ জুন ২০২৫, ২১:৫৬
ক্রিকেটের বরপুত্র হিসেবে পরিচিত শচীন টেন্ডুলকার। রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে বিশ্ব ক্রিকেটে এখনো স্মরণীয় হয়ে আছেন তিনি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেঞ্চুরির ‘সেঞ্চুরি’ করা একমাত্র ক্রিকেটার শচীন। টেস্ট ও ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান, সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডও শচীনের দখলে।
ক্রিকেটের বরপুত্র থেকে রেকর্ডের বরপুত্র- তবুও শচীনের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার থেমেছিল মাত্র ১২ বলে। ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের হয়ে প্রথম এবং একমাত্র টি–টোয়েন্টি খেলেন শচীন। এরপর কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে এই কিংবদন্তিকে আর দেখা যায়নি।
মাত্র এক ম্যাচেই কেন শচীনের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার থেমেছিল, জানতে হলে পেছনে ফিরতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যাত্রা শুরু ২০০৫ সালে, আর ভারতের টি–টোয়েন্টি অভিষেক ২০০৬ সালে। তখন শচীনের বয়স ৩৩, ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তের প্রহর গুণছিলেন তিনি।
বিপরীতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন ভারতীয় বোর্ড। আবার টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটকে ক্রিকেটের ঐতিহ্য মনে করে টি-টোয়েন্টিকে তেমন আমলে নেননি শচীন। ফলে মাত্র এক ম্যাচেই থেমেছিল তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের একমাত্র ম্যাচে ১২ বলে ১৫ রান করেছিলেন শচীন, বল হাতে নিয়েছেন এক উইকেট। মাত্র ১২ বল খেলেই কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ইতি টানা নিয়ে পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে শচীন বলেছিলেন, ‘আমি যেটাতে দলের জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারি, সেটাতেই মনোযোগ দিয়েছি।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শুরুতেই থেমে গেলেও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে শচীন ছিলেন দারুণ সফল। আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত। ২০১০ আইপিএলে করেন ৬১৮ রান, ছিলেন সেই আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। পেয়েছিলেন অরেঞ্জ ক্যাপ।
টি-টোয়েন্টিতে মাত্র একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেও শচীন টেন্ডুলকার এই ফরম্যাটের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাননি। কারণ সংখ্যার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে সিদ্ধান্ত। তিনি জানতেন কোথায় থামতে হবে, কোথায় সুযোগ দিতে হবে নতুনদের।
এমআই