
শ্রীলঙ্কার ক্যাচ মিসের মহড়া, তবুও অল্পতে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
খেলা ডেস্ক
২৫ জুন ২০২৫, ১৮:৫৭
দিনের শুরু থেকেই ক্যাচ মিসের মহড়া দিতে শুরু করে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই পরপর দুই বলে এনামুল হকের ক্যাচ ছেড়েছিল তারা। এরপর সাদমান, মুমিনুল, লিটন, মুশফিককেও জীবন দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এত এত সুযোগ পেয়েও ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে ছিল বাংলাদেশ। তাতে ২২০ রানে প্রথম দিন শেষ করে টাইগাররা।
কলম্বোতে টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করতে পারেননি টাইগার ব্যাটাররা। ম্যাচের প্রথম দিনেই আট উইকেট খুইয়েছে লাল-সবুজের দল। লঙ্কান ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের মহড়াও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরুতে শূন্য রানে দুইবার জীবন পেয়েছিলেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। কিন্তু শূন্য রানেই বোল্ড আউট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন এই ডানহাতি। বিজয়ের আউটের পর মাঠে নামেন মুমিনুল হক। টেস্টে রান সংখ্যায় সাকিবকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দিনে মাত্র ২১ রানে থামেন এই ক্রিকেটার। একটি বাজে বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি, যেন অনুশীলনেরই প্রতিফলন।
মুমিনুল ডাগ আউটে ফেরার পর মাঠে নামেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি হাঁকানো শান্ত এদিন দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেননি। বিশ্ব ফার্নান্দোর ইনসুইং বলে খোঁচা মেরে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন তিনি। তবে এর মাঝেই সাদমানের ক্যাচ ছেড়েছিল লঙ্কান ফিল্ডাররা।
জীবন পেয়েও ওপেনার সাদমান ইনিংসকে বড় করতে পারেননি। শান্ত আউট হওয়ার এক ওভারের মাথায় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে ৪৬ রান করে ফিরেছেন সাদমান ইসলাম। তাতে সাত বলের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপরই অঝরো কাঁদতে শুরু করে কলম্বোর আকাশ।
বৃষ্টির আগেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন লিটন কুমার দাস। কঠিন ক্যাচটা তালুবন্দি করতে পারেননি লঙ্কান স্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়া। বৃষ্টির পর পছন্দের স্লগ সুইপে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিম। সহজ ক্যাচটাও এদিন ছেড়ে লঙ্কান ফিল্ডার লাহিরু উদারা। এরপর জয়সুরিয়ার বলে আবার জীবন পান লিটন দাস।
ক্যাচ মিসের মহড়ার মাঝেও ৫৬ বলে ৩৪ রান করে ফিরেছেন লিটন দাস। অভিষিক্ত দিনুশা সোনালের বলে উইকেট বিলিয়ে আসার দিনে নতুন কীর্তিতে পা রেখেছেন তিনি। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে রান সংখ্যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ছাড়িয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
লিটন আউট হওয়ার ছয় ওভার পরেই স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। অভিষিক্ত দিনুশা সোনালের বলে মাত্র ৩৫ রান করে ফিরেছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। একাধিকবার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি ৯৮টি টেস্ট খেলা মুশফিক।
এরপর দলের হাল ধরেন মেহেদী মিরাজ ও নাইম হাসান। মিরাজ কিছুটা ধীরগতির হলেও স্পিনারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন নাইম। তবে ম্যাচের ৬৪তম ওভারে মিরাজের ব্যর্থ শটে ৩৭ রানের জুটি ভেঙে যায়। অসুস্থতা কাটিয়ে ফেরা মিরাজ ৪২ বলে ৩১ রান করে বিদায় নিয়েছেন।
মিরাজের আউটের পর দ্রুতই বিদায় নেন নাইম হাসান। আউট হওয়ার আগে ডানহাতি এই ব্যাটার করেছেন ২৫ রান। এরপর এবাদতকে সঙ্গে নিয়ে দিনের বাকিটা নির্বিঘ্নে পার করেন তাইজুল ইসলাম। দিন শেষে তাইজুল ৯ ও এবাদত ৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন। যদিও ক্যাচ মিস করে তাইজুলকে জীবন দিয়েছেন উইকেটরক্ষক কুশন মেন্ডিস।
শ্রীলঙ্কার হয়ে আসিথা, বিশ্ব ও সোনাল দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন থারিন্ডু রত্নায়েকে ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
এমআই