
গামিনির রাজত্ব শেষ, প্রধান হয়ে ফিরছেন টনি হেমিং
খেলা ডেস্ক
০৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩০
মিরপুরের পিচ নিয়ে সমালোচনা দীর্ঘদিনের। ক্রিকেটার, বিশ্লেষক, সমর্থক- সবাই এই পিচ নিয়ে বেশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দেশের মাটিতে আয়োজিত অধিকাংশ ম্যাচই এই পিচে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিরপুরের পিচ রক্ষণাবেক্ষন করতেন শ্রীলঙ্কান মাস্টারমাইন্ড গামিনি ডি সিলভা। প্রধান কিউরেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই লঙ্কানের রাজত্ব দ্রুতই শেষ হচ্ছে।
বিসিবির প্রধান কিউরেটর হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন অস্ট্রেলিয়ান কিউরেটর টনি হেমিং। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে বিসিবিতে এসেছিলেন এই অজি। তবে গামিনির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দুই বছরের মেয়ার পূর্তির আগেই তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন। এবার টাইগারদের প্রধান কিউরেটর হিসেবেই ফিরছেন এই অস্ট্রেলিয়ান কিউরেটর।
বিসিবি ছাড়ার পর হেমিং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান কিউরেটর হিসেবে যোগ দেন। পিসিবির সঙ্গেও তার চুক্তি ছিল দুই বছরের। তবে বিসিবি থেমে থাকেনি। টনি হেমিংকে ফিরিয়ে আনতে গত ছয় মাস ধরে ধারাবাহিক যোগাযোগ রাখছিল তারা। সেই প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। আবারও প্রধান কিউরেটর হিসেবে ফিরছেন টনি হেমিং।
বিসিবির একজন পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘হেমিংয়ের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। তিনি খুব শিগগিরই বাংলাদেশে এসে কাজ শুরু করবেন।’
এইবার হেমিং থাকছেন আরও বড় একটি দায়িত্বে। শুধু প্রধান কিউরেটর নয়, বরং তিনি হবেন ‘হেড অব টার্ফ’। দেশের সব কিউরেটরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি মাঠের মানোন্নয়নে সার্বক্ষণিক নজর রাখবেন তিনি। এতেই মিরপুরে রাজত্ব কায়েম করা শ্রীলঙ্কান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার বিদায় ঘণ্টা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গামিনির সঙ্গে সম্প্রতি চুক্তি নবায়ন করেছিল বিসিবি। গামিনীকে ঘিরে বিসিবির ভেতরে পিচ প্রস্তুতি ও অবকাঠামো পরিকল্পনা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা ছিল। তবে বিসিবি চাইলেও এখনই তাকে চুক্তি থেকে সরিয়ে দিতে পারে না। তাকে ৩ মাসের নোটিস দেবে বোর্ড। আগামী ১০ আগস্ট তিনি কলম্বোয় ফিরে যাবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে বিসিবিতে পুনরায় ফেরা টনি হেমিং আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি এবং দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর হিসেবে কাজ করেছেন। পাশাপাশি ওমান ক্রিকেট একাডেমির আইসিসি পিচ কনসালট্যান্ট ছিলেন এই অজি।
এছাড়া পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামের এরিনা ম্যানেজার, আইসিসি ক্রিকেট একাডেমির আন্তর্জাতিক উপস্থাপক ও শিক্ষাবিদ এবং সৌদি আরবের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়ামের এরিনা ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
এমআই