Advertisement
Us Bangla Airlines
৯৬ বলে ১১৮ রান—বড় শট খেলার গল্প শোনালেন রাতুল

৯৬ বলে ১১৮ রান—বড় শট খেলার গল্প শোনালেন রাতুল

খেলা ডেস্ক

১১ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫৬

ত্রিদেশীয় সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা হারতে বসেছিল বাংলাদেশ। এক উইকেটে জেতা সেই ম্যাচের নায়ক অলরাউন্ডার সামিউন বশির রাতুল। ৭ চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৪৫ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের আরেক ম্যাচেও টাইগার শিবিরের ব্যাটিং ধসকে সামাল দিয়েছেন রাতুল।

সিরিজের অষ্টম ম্যাচে ৬৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ব্যাট করতে নেমেই আগ্রাসী রাতুল। ৬ চার আর ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৫২ রান করে দলকে জিতিয়েছেন তিনি। ত্রিদেশীয় সিরিজে দলের বাকিরা যখন রয়েসয়ে খেলছিল, তখন ব্যাট হাতে ব্যতিক্রম ছিলেন এই অলরাউন্ডার। পাঁচ ইনিংসে ৯৬ বলে ১১৮ রান করেছেন তিনি, স্ট্রাইকরেট ১২২।

রাতুলের বীরত্বে ফের দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল বাংলাদেশ

দশ ম্যাচের এই তিন জাতির সিরিজে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইকরেট ছিল রাতুলের। এমনকি প্রথম ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করা (১৫৩ বলে ২১৫) প্রোটিয়া ব্যাটার জর্খ ফন স্কালভিকের স্ট্রাইকরেট ছিল রাতুলের নিচে। ব্যাট হাতে এতটা মারকুটে কীভাবে হয়ে ওঠেন রাতুল, এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন এই যুব অলরাউন্ডার।

রাতুল বলেন, ‘বড় শট খেলার প্রবণতাটা আসলে ছোটবেলা থেকেই। তখন থেকেই আমি চেষ্টা করতাম বড় শট খেলার। আমার আসলে ভালো লাগতো এভাবেই রান করতে। সেই ভালো লাগাটা এখন আসলে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যখন দলের প্রেশার আসে, তখন আমি শট খেলেই আসলে রিলিফ হওয়ার চেষ্টা করি।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বল বাই বল খেলার চেষ্টা করি। যেটা খারাপ বল পাই সেটা শট খেলার চেষ্টা করি, যেটা ভালো বল সেটা ডিফেন্ড করার চেষ্টা করি। মেইনলি আসলে আমি শট খেলতে না পারলে সেটা সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টা করি। আর সত্যি কথা বলতে আসলে স্ট্রাইকরেট ঠিক রেখে খেলাটা আমার ন্যাচারাল বলতে পারেন।’

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই ম্যাচে জেতানো নিয়ে রাতুল বলেন, ‘আমার চিন্তা সবসময় পজেটিভ থাকে। এই পজেটিভ মাইন্ড সেটআপ নিয়ে সবসময় খেলার চেষ্টা করি। যে কারণে চাপের সময় ফলাফলটা পক্ষে আসে। বাইরের কোনো কিছু নিয়ে ভাবি না, সামনে কে বা কারা বোলিং কিংবা ব্যাটিং করছে।’

এমআই