
৮৯৫২ দিন পর এমন জয় পেল জিম্বাবুয়ে
খেলা ডেস্ক
২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:১৪
ঘরের মাঠে অতিথিদের পাত্তাই দিল না জিম্বাবুয়ে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট জিতল সিকান্দার রাজারা। রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানির বিধ্বংসী বোলিংয়ে দুমড়েমুচড়ে পড়েছে আফগানদের ব্যাটিং অর্ডার। তাতে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে একমাত্র টেস্টে ইনিংস ও ৭৩ রানের বড় জয় পেল জিম্বাবুয়ে।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে রশিদবিহীন আফগানিস্তান। ভালো শুরুর পর শেষ ৫১ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল আফগানিস্তান। জবাবে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে করে ৩৫৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানরা কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়ে যায় ১৫৯ রানে।
এতেই ৭৩ রান ও ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় বরণ করে জিম্বাবুয়ে। টেস্টে বাংলাদেশকে ২৪ বছর আগে সবশেষ ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছিল রোডেশিয়ানরা। ২০০১ সালের ১৯ এপ্রিল শেষ হওয়া সেই ম্যাচে ইনিংস ও ৩২ রানে হারে টাইগাররা। ৮৯৫২ দিন পর এবার আফগানিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানে হারাল জিম্বাবুয়ে।
ম্যাচের তৃতীয় দিনে আজ শুরুতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। গতকাল ৩৪ রান ১ উইকেট হারানো আফগানরা শুরুতেই ধাক্কা খায়। পেসার তানাকা চিভাঙ্গার শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন রাহমানউল্লাহ গুরবাজ। কিছুক্ষণ পরই আরেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ইব্রাহিম জাদরান এনগারাভার বলে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ধরা পড়েন।
অধিনায়ক হাশমাতউল্লাহ শাহিদিও ব্যর্থ হন, ফিরেন এক অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। মিডল অর্ডারে ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন বাহির শাহ। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৩ বলে ৩২ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বলে শর্ট লেগে ধরা পড়েন বেন কারানের হাতে।
লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় আফগানিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১২৭ রান। সেখান থেকে ফিরে আর ৭ ওভারও টিকতে পারেনি সফরকারীরা। ইসমাত আলম ও শরাফউদ্দিন আশরাফকে ফিরিয়ে এনগারাভা পূর্ণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেট। এরপর চার বলের ব্যবধানে খালিল ও জিয়াকে বোল্ড করে জিম্বাবুয়ের জয় নিশ্চিত করেন মুজারাবানি।
ইনিংসে ৩৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে এনগারাভা হন দলের সবচেয়ে সফল বোলার। এর আগে তার সেরা ছিল ৫৩ রানে ৪ উইকেট। মুজারাবানি ৪৮ রানে নেন ৩ উইকেট। জিম্বাবুয়ের একমাত্র ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ওপেনার বেন কারান ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। সেঞ্চুরি করে দলের বড় সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন এই ওপেনার।
এমআই