জাকের-শামীমদের ব্যর্থতায় সিরিজ হারল বাংলাদেশ
খেলা ডেস্ক
২৯ অক্টোবর ২০২৫, ২২:১৬
শেষ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ রান। প্রথম বলেই ২ রান নেন তানজিম হাসান সাকিব, পরের বল ওয়াইড দেন স্পিনার আকিল হোসেন। দ্বিতীয় বল থেকে এক রান নিয়ে স্ট্রাইক পান রিশাদ হোসেন। কিন্তু তৃতীয় বলেই বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি। এতেই ১৪ রানের জয় নিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার শাই হোপ। জবাবে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে থেমেছে ১৩৫ রানে।
ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। তানজিম হাসান সাকিবের করা প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়েছিলেন ব্রেন্ডন কিং, কিন্তু সহজ সুযোগটি ফেলে দেন লিটন দাস। অধিনায়কের সেই ভুলের খেসারত বড় হয়নি—পরের ওভারেই তাসকিন আহমেদের বলে মিড অফে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন কিং। এরপর ইনিংসের হাল ধরেন আলিক আথানজে ও শাই হোপ।
দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ৫০ রান তোলে দলটি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দুজনেই ফিফটির দেখা পান— আথানজে ৩৩ বলে ৫২ ও হোপ ৫৫ রান করে ফেরেন। ১০৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পরই শুরু হয় ধস। বাকি ব্যাটারদের কেউই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। শেষদিকে মুস্তাফিজ, নাসুম ও রিশাদের বোলিংয়ে ১৫০ রানের আগেই থেমে যায় তারা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান (২১ রানে ৩ উইকেট)। নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন পেয়েছেন ২টি করে উইকেট, আর একটি করে নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও তানজিম সাকিব।
১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সতর্ক শুরু করেন ওপেনার তানজিদ তামিম ও সাইফ হাসান। কিন্তু ইনফর্ম সাইফ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি—১১ বলে ৫ রান করে জেসন হোল্ডারের বলে ক্যাচ দেন। তিনে নেমে লিটন দাস কিছুটা ছন্দ ফেরানোর চেষ্টা করেন, ১৭ বলে ২৩ রান করে ফেরেন অধিনায়ক।
৪৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটি গড়েন তানজিদ তামিম। ইনিংস গড়ার চেষ্টায় সফল হলেও, বড় শট খেলতে গিয়ে হৃদয় ফেরেন ১৪ বলে ১২ রান করে। অন্য প্রান্তে নিজের জায়গা ফিরে পাওয়া তানজিদ ফিফটি পূর্ণ করেন ৩৮ বলে। ৪৮ বলে করেন ৬১ রান— ইনিংসের একমাত্র উজ্জ্বলতা তিনিই।
তামিম ফেরার পরই পথ হারায় বাংলাদেশ। মধ্য ওভারে প্রচুর ডট বল খেলে চাপে পড়ে দল। জাকের আলির ধীর ইনিংস (১৮ বলে ১৭) রানের গতি থামিয়ে দেয়। শেষদিকে শামিম পাটোয়ারি, রিশাদ কিংবা নাসুম কেউই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেননি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২১ রান, কিন্তু আকিল হোসেনের ওভারে এলো মাত্র ৬ রান। তাতেই ১৪ রানে পরাজয়।
এমআই