
টিকিট বিক্রি করে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয় বিসিবির
খেলা ডেস্ক
৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০৮
নতুনত্বের বিপিএলে আলোচনা-সমালোচনা উভয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএলের একাদশ আসরে পারিশ্রমিক ইস্যু, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো নেতিবাচক ইস্যুও সামনে এসেছে। তবে সব সমালোচনা ঢাকা পড়ে গেছে বিপিএলের রান বন্যার চাপে। সিলেট, চট্টগ্রামের পাশাপাশি এবার মিরপুর স্টেডিয়ামে দেখা মিলেছে রানের।
মন্থর গতি ও নিচু পিস হিসেবে পরিচিত মিরপুর মাঠে গতকালও ২২০ রান করেছে খুলনা টাইগার্স। মাঠে রান বন্যার চাপে বাইশ গজে বেড়েছে উন্মাদনা। তাতেই স্টেডিয়ামে ভিড় করেছে ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ। চলতি বিপিএলের শুরু থেকেই দশর্কদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। উদ্বোধনী ম্যাচ থেকে টিকিট নিয়ে দর্শকদের উত্তেজনা পরিলক্ষিত হয়েছে।
পরিবর্তনের বিপিএলে টিকিটিং সিস্টেমে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। চলতি বিপিএলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ৬০ শতাংশ টিকিটি বিক্রি করেছে বিসিবি। অনলাইনে টিকিটের ব্যবস্থা করায় কালোবাজারিতে যেমন ধস পড়েছে, তেমনি দর্শকেরা ন্যায্য দামে ঘরে বসে টিকিট সংগ্রহ করতে পেরেছে। তাতেই বেড়েছে বিসিবির টিকিট বিক্রির আয়।
বিপিএলে এখনো লিগ পর্বের চার ম্যাচ বাকি। এছাড়া কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালের মতো ম্যাচও বাকি রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই শুধু টিকিট বিক্রি করে ১০ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছে ফারুক আহমেদের বোর্ড। যা বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ আয়। এর আগে টিকিট বিক্রি করে সর্বোচ্চ চার কোটি টাকা আয় করেছিল বিসিবি।
বিপিএলের নক আউট পর্বের ম্যাচগুলোতে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় নিশ্চিতভাবে দেখা যাবে। তাতে এই আয়ের পরিমাণ আরও কয়েক শতাংশ বাড়বে বলে আশা করছে বিসিবি।
এদিকে টিকিট বিক্রি থেকে আয় বাড়ায় টুর্নামেন্টটির চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপের প্রাইজমানি বাড়িয়েছে বিসিবি। আসরের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি ২ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হলেও সেটা বাড়িয়ে আড়াই কোটি টাকা করেছে বিসিবি। এছাড়া রানার্সআপ দল পাবে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এমআই