
বিপিএল থেকেও পিছিয়ে ভারতের আন্তর্জাতিক ম্যাচ!
খেলা ডেস্ক
২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৩৮
চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর। ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টটির ৩২ ম্যাচ শেষ হয়েছে। বিপিএলের ব্যস্ততার মাঝে পার্শ্ববর্তী দেশেও শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক ম্যাচের উৎসব। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিতেছে ভারত। পান্ডিয়াদের ম্যাচের আয়োজন, উৎসবের সাথে অন্য কোনো দেশের তুলনা হয় না। তবুও কোন সমীকরণে বিপিএল থেকে পিছিয়ে ভারতের আন্তর্জাতিক ম্যাচ?
উত্তরটা খুঁজতে বিপিএলের শুরুর দিকে যেতে হবে। নতুনত্বের স্লোগান নিয়ে শুরু হওয়া চলতি বিপিএলে বসেছে রানের মহোৎসব। ঢাকা কিংবা সিলেট- সব পিচেই রানের ফোয়ারা দেখেছে ক্রিকেট ভক্তরা। তবে এত রানের পেছনে বিসিবির ভালো পিচ তৈরি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। এছাড়াও রানবন্যার পেছনে রয়েছে নতুন কারণ। চলতি বিপিএলের শুরুর দিকে সীমানার দৈর্ঘ্য কমিয়ে এনেছিল বিসিবি।
স্বাভাবিক বাউন্ডারির তুলনায় সীমানা দৈর্ঘ্য কমে আসায় অল্পতেই রান তুলতে পেরেছিল ব্যাটাররা। তবে একই কারণে বোলারদের অগ্নি পরীক্ষা দিতে হয়েছে। বল করেও হজম করতে হয়েছে বাউন্ডারি কিংবা ছয়ের মার। বোলারদের অসহায়ত্ব নিয়ে সামাজিক মাধ্যম এবং বিশ্লেষকদের থেকে নানান সমালোচনা শুনেছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ। তবে সমালোচনার কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকেছিলেন তামিম ইকবাল।

বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য কমানোর কারণে প্রকাশ্যেই বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সমালোচনা করেছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তামিম বলেন, ‘আপনার কাছে যখন জায়গা আছে, তখন ৫৮-৬০ মিটার বাউন্ডারি কেন হবে, সেটা আমি জানি না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যখন খেলবেন, তখন তো বাউন্ডারি ৬৫-৭০ মিটারের বাউন্ডারি থাকে। এটা বোলারদের জন্য কিছু থাকে। কারণ, উইকেট অনেক ভালো।’
তামিমের মন্তব্যে চট্টগ্রাম পর্বে সীমানার দৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত রেখেছিল বিসিবি। যদিও তাতে রানের ভাটা দেখা যায়নি। কিন্তু ভারতের আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেখা গিয়েছিল ভিন্ন দৃশ্য। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বিপিএলের থেকেও ছোট সীমানা দেখা গিয়েছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়ামে।
ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের সময় টিভিতে দেখানো গ্রাফে দেখা যায়, ম্যাচটিতে ফাইন লেগের সীমানার দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ৫০ মিটার। এমনকি থার্ড ম্যান অঞ্চলে এর দৈর্ঘ্য মাত্র ৫৩ মিটার। গতকাল (বুধবার) ইডেন গার্ডেনের এই মাঠটিতে সর্বোচ্চ সীমানা দৈর্ঘ্য ছিল ৬৭ মিটার। সেটাও ডিপ মিড এক্সট্রা কাভার এবং কাউ-কর্নার অঞ্চলে।
চলতি বিপিএলে সবচেয়ে ছোট সীমানা ছিল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। সেটাও ভারতের আন্তর্জাতিক ম্যাচের সীমানা থেকে এগিয়ে। সিলেটে ডিপ পয়েন্টের বাউন্ডারি ছিল ৫৫ মিটার। এছাড়া বাকি অঞ্চলগুলো ছিল ৬০-৬৫ মিটারের মধ্যে। ঢাকায় ফাইন লেগ, থার্ড ম্যান অঞ্চলের সীমানা ছিল সবচেয়ে ছোট। সেটাও ৫৬ মিটার।
চট্টলার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অপরিবর্তিত এই স্টেডিয়ামে সর্বনিম্ন সীমানা দৈর্ঘ্য ৫৮ মিটার। সেটাও ডিপ পয়েন্ট অঞ্চলে। এছাড়া ফাইন লেগে বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য ছিল ৬০ মিটার। তবে ‘ভি’ জোনে এ মাঠের সীমানা দৈর্ঘ্য ছিল ৭০ মিটার।
এমআই