
গতি নিয়ে ভাবনা নেই, দলে অবদান রাখতে যে পরিকল্পনা রানার
খেলা ডেস্ক
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:০৩
বাংলাদেশ বোলিং ইউনিটের সবশেষ সংযোজন নাহিদ রানা। গতির ঝড়ে ইতোমধ্যে বিশ্ব ক্রিকেটে জাত চিনিয়েছেন এই বোলার। নিয়মিত ১৪০ কি.মি. এর বেশি গতিতে বল করতে পারা নাহিদ প্রতিপক্ষকে ভুগিয়েছেন বেশ। গতির সাথে বাউন্সার মারা রানার মূল অস্ত্র। এছাড়া ইদানীং সুইংয়ের প্রতি মনোযোগীও হতে দেখা গেছে তাঁকে।
বাংলাদেশ দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৯টি ম্যাচ খেলেছেন নাহিদ রানা। এর মধ্যে টেস্ট ৬টি এবং ওয়ানডে ৩টি। সবশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে। যেখানে নিয়মিত ১৪৫ কিমি গতিতে বল করায় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন নাহিদ। বল হাতে উইকেট না পেলেও গতি আর বাউন্সে প্রতিপক্ষকে অস্বস্তিতে ভুগিয়েছেন।
নাহিদের এমন দক্ষতায় মাত্র তিন ম্যাচ খেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টে ডাক পেয়েছেন। যেখানে বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটারকে গতির ঝড়ে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। তবে শুধু গতিতেই ফোকাস রাখতে চান না এই স্পিড স্টার। ক্যারিয়ারকে লম্বা করতে ভিন্ন কিছু রপ্ত করছেন ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যাওয়ার আগে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে নিজের পরিবর্তনের গল্প শুনিয়েছেন নাহিদ রানা। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি ১৫০ কিমি গতিতে বল করা নিয়ে ভাবছি না। বরং সঠিক লাইন ও লেন্থের ওপর বল করার জন্য আলাদাভাবে নজর দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘শুধু গতির উপর নির্ভর করে দশ ম্যাচের মধ্যে একটি বা দুটি ম্যাচ ভালো করা যেতে পারে, তবে বাকি আটটি ম্যাচের জন্য ভুগতে হবে। এছাড়া ক্রিকেটে টিকে থাকতে হলে লাইন-লেন্থ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার লাইন এবং লেন্থ যদি সঠিক হয়, আপনি যেকোনো উইকেটে, যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবেন।’
সম্প্রতি শেষ হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ব্যাটিংবান্ধব পিসে বল করতে হয়েছিল নাহিদকে। গতির ঝড়ে একাধিক ম্যাচে ‘সেরা খেলোয়াড়’ হলেও কিছু ম্যাচে খরুচেও হয়েছেন তিনি। তবে ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে বল করাকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি হিসেবে মনে করছেন নাহিদ।
তিনি বলেন, ‘একজন বোলার হিসাবে যেকোনো উইকেটে খেলতে আমার প্রস্তুত থাকা উচিত। কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনি কখনই জানবেন না, আপনার জন্য কেমন পিস অপেক্ষা করছে। যেহেতু বিপিএলে ব্যাটিং উইকেট ছিল, তাই আমাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছিল। এটা আমাদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কাজে দিবে।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা যদি ব্যাটিং উইকেটে ভালো বোলিং করতে পারি, তাহলে আমরা যেকোনো উইকেটে ভালো বল করবো। আপনি যখন ব্যাটিং উইকেটে বোলিং করবেন, তখন আপনার বোলিং দক্ষতাও বাড়বে।’
ওয়ানডেতে মাত্র তিন ম্যাচ খেললেও এই সংস্করণে কীভাবে বল করতে হবে, তা নিয়ে ধারণা রাখেন নাহিদ রানা। তিনি বলেন, ‘ওয়ানডেতে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী আমি বোলিং করতে আসি এবং এটি দলের পরিকল্পনার অংশ। দল আমার কাছে যা প্রত্যাশা করে আমি সেই অনুযায়ী বোলিং করি। সেখানে কিপটে বোলিং বা উইকেট নেওয়ার মতো প্রত্যাশা থাকতে পারে।’
এমআই