
‘অল-অ্যাটাক’ খেলতে গিয়ে ৩৮ ওভারেই অলআউট বাংলাদেশ
খেলা ডেস্ক
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৫০
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আয়োজক পাকিস্তান। বাবর আজমদের ঘরের মাটি যেন রানবন্যার আরেক নাম। সেই লক্ষ্যে দেশে বাজবলের প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলাদেশ দল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভিন্ন বাংলাদেশ দেখার গল্পও বলেছিলেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। এবার পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে ‘অল-অ্যাটাক’ ক্রিকেট খেলতে গিয়ে মাত্র ৩৮.৪ ওভারেই অলআউট হয়ে বসেছে বাংলাদেশ।
দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে আজ পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল নাজমুল শান্তের দল। সেখানে শুরু থেকে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে গিয়ে ম্যাচের ৭০ বল বাকি থাকতেই সব উইকেট হারায় টাইগাররা। তাতে ৩৮.৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে ২০২ রান জমা করতে পেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্দান্ত ব্যাটিং করা তানজিদ হাসান তামিম দুবাইতে এসে ব্যর্থ। বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। আলি রেজার বলে বোল্ড হয়েছেন এই ওপেনার।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শান্ত। তামিমের পথেই হেটেছেন অধিনায়ক। অথচ দ্রুত উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। উল্টো নিজের উইকেট বিলিয়ে দলকে আরো বিপদে ফেলেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। মুবাশ্বির খানকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান।
তামিম-শান্ত ব্যর্থ হলেও আরেক প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন সৌম্য সরকার। সদ্য সমাপ্ত বিপিএল দিয়ে চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন এই ওপেনার। তবে তার মাঠের পারফরম্যান্সে সেটার কোনো ছাপ ছিল না। সৌম্যের ব্যাটে ভর করেই শুরুর পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান তোলে বাংলাদেশ।
ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য। কপালের দোষেই সাজঘরে ফিরতে হলো এই টপ অর্ডার ব্যাটারকে! রান আউটে কাটা পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ রান। সৌম্যের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। চারে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন তিনি। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। তবে ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
হৃদয়ের বিদায়ের পরই ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা মিরাজ সাজঘরে ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা নিয়ে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৪ রান। মিডল অর্ডারে ব্যর্থ মুশফিক-জাকের আলিরা। অভিজ্ঞ মুশফিক করেছেন মাত্র ৭ রান, জাকেরের ব্যাট থেকে এসেছে ৪ রান।
মিডল অর্ডারের বাজে ব্যাটিংয়ে দেড়শর আগেই অলআউটের শঙ্কা দেখা দেয়। তবে লোয়ার অর্ডারে দলের হাল ধরেন রিশাদ ও তানজিম হাসান। ব্যক্তিগত ১৪ রানের মাথায় রিশাদ ক্যাচ দিয়ে আউট পরেই ৩০ রানে কাটা পড়েন তানজিম সাকিব। এরপর নাসুমের ১৫ আর তাসকিনের অপরাজিত ৪ রান বাংলাদেশ কোনমতে ২০০ রানের বন্দরে পৌঁছে দেয়। তাতে ‘অল-অ্যাটাক’ খেলতে যাওয়া টাইগাররা ২০২ রান করেই ডাগ আউটের পথ ধরেন।
পাকিস্তানের হয়ে চারটি উইকেট শিকার করেন লেগ স্পিনার উসামা মীর। এছাড়া মুবাসির খান ২, সুফিয়ান মুকিম ১, আলী রাজা ১ এবং মুসা খান ১টি উইকেট শিকার করেন।
এমআই