
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট নয়, শুধু জাতীয় দলে চোখ নাহিদ রানার
খেলা ডেস্ক
০৯ মার্চ ২০২৫, ২০:১০
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অবিশ্বাস্য আবিষ্কার নাহিদ রানা। জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত নামমাত্র ম্যাচ খেলা এই ক্রিকেটার ইতোমধ্যে বিশ্ব ক্রিকেটে আলোড়ন তুলেছেন। গতি আর বাউন্সে প্রতিপক্ষকে নিয়মিত পরীক্ষায় ফেলতে ওস্তাদ নাহিদ। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এত গতিতে বল করতে দেখা যায়নি কাউকে।
বিশ্বের সবচেয়ে গতিময় বোলারদের সেরা দশের একজন নাহিদ রানা। আগুনে বোলিংয়ে দেশের বাহিরেও বিদেশি লিগে ডাক পেয়েছেন তিনি। গেল জানুয়ারিতে পিএসএলের ড্রাফট থেকে নাহিদকে দলে ভেড়ায় বাবর আজমের দল পেশওয়ার জালমি। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি দল নিয়ে খুব একটা ভাবতে চাচ্ছেন না এই বোলার।
দেশের শীর্ষসারির গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান নাহিদ। তিনি বলেন, ‘আমার নজর শুধু জাতীয় দলে। বিসিবি যদি অনুমতি দেয়, তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলতে যাব। না হলেও কোনো সমস্যা নেই।’
সাক্ষাৎকারে এই গতিদানব জানান, দেশের জন্য খেলার অনুভূতি সব সময়ই একই। সেটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ কিংবা আইসিসির বড় টুর্নামেন্ট হলেও খুব একটা পাল্টায় না। নাহিদ বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে আইসিসি টুর্নামেন্টে অভিষেক হলেও খুব আলাদা কিছু মনে হয়নি। স্বাভাবিকই লেগেছে সবকিছু। আসলে নিজের দেশের জন্য খেলার অনুভূতি সব সময়ই একই।’
তিনি বলেন, ‘আমি যখন প্রথম আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলার জন্য জাতীয় দলে ডাক পেলাম, ভেতরে একটা অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করেছে। আইসিসি টুর্নামেন্টেও ওই একই অনুভূতি। এভাবে দেখিনি যে অন্য একটা সিরিজ আর এটা আলাদা। আগের সিরিজে যেভাবে সফল হয়েছি, ওটাই করার চেষ্টা করেছি।’
বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার মানেই যেন ইনজুরির সখ্যতা। তবে চোট থেকে নিজেকে সারিয়ে রাখতে অভ্যাস বদলেছেন নাহিদ রানা। তিনি বলেন, ‘নিজেকে ফিট রাখতে অনেক নিয়মকানুন মানতে হয়। খাদ্যাভ্যাস বদলে গেছে। নিয়মিত সাঁতার কাটতে হয় নিজের শরীরকে ফিট রাখতে। আরও অনেক কিছুই করতে হয়। টিকে থাকতে হলে এটা করতেই হবে।’
নাহিদকে ফিট রাখতে বিসিবি থেকেও পরামর্শ দেওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার তরফ থেকে শতভাগ চেষ্টা করছি কীভাবে ফিট থাকা যায়। চোটে না পড়ার জন্য যে কাজগুলো করা দরকার, সেগুলো করছি। নিজের স্কিল বলেন, ফিটনেস বলেন, সবকিছুই আরও ওপরে নিতে চেষ্টা করছি। বিসিবি থেকেও আমাকে বলে দেওয়া হয়, তুমি আজকে এতগুলো ওভার করবে, এতটুকু সময় জিম করবে; এই রুটিন অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করি।’
এমআই