Advertisement
Us Bangla Airlines
পিএসএলে খেলতে গিয়ে যা শিখতে চান রিশাদ

পিএসএলে খেলতে গিয়ে যা শিখতে চান রিশাদ

খেলা ডেস্ক

০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৪১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের কাছে চমক ছিলেন রিশাদ হোসেন। টাইগারদের বোলিং আক্রমনে নতুন বৈচিত্র্য বাকি দলগুলোকে চমকে দিয়েছে। বাংলাদেশের হয়ে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছিলেন রিশাদ। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশে হোবার্ট হারিকেনস দলে ডাক পেয়েছিলেন এই লেগ স্পিনার।

গত বছরের শেষদিকে বিগ ব্যাশ শুরু হলেও যেতে পারেননি রিশাদ হোসেন। বিসিবি থেকে অনাপত্তিপত্র মিললেও বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি এই লেগিকে হাতছাড়া করতে চায়নি। ফলে দারুণ সুযোগ পেয়েও শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেননি বাংলাদেশের উঠতি তারকা রিশাদ হোসেন। মাঝে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ডাক পেলেও ভিসা জটিলতায় সেখানে যেতে পারেননি তিনি।

বিগব্যাশ, গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হাতছাড়া হওয়ার পর চলতি বছরে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দল পেয়েছেন টাইগার স্পিনার। পিএসএলের ড্রাফট থেকে রিশাদকে দলে ভেড়ায় লাহোর কালান্দার্স। এবার অনাপত্তিপত্র নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়নি রিশাদকে। আন্তর্জাতিক সূচিতে ব্যস্ততা না থাকায় এই লেগিকে পিএসএলের পুরো আসর খেলার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

বিসিবির এমন সহযোগিতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রিশাদ হোসেন। দেশের গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিএসএলে খেলতে যাওয়া উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন টাইগার স্পিনার। 

রিশাদ বলেন, ‘সত্যি বলতে, বিদেশি টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়া আমার জন্য দারুণ সুযোগ। আগেও সুযোগ এসেছে, তবে এনওসি জটিলতায় খেলা হয়নি। এবার বিসিবি আমাকে এনওসি দিয়েছে। এ জন্য কৃতজ্ঞ। এ ধরনের টুর্নামেন্ট খেলতে বিসিবির অনুমতি পাওয়া জরুরি।’

ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের আনাগোনা বেশি থাকে। ফলে নবীন ক্রিকেটারদের এসব টুর্নামেন্টে শেখার জায়গা সবচেয়ে বেশি। রিশাদও পিএসএলে গিয়ে সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে চান। 

ভরসার প্রতীক রিশাদের রেকর্ড গড়া বছর

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ক্রিকেটারদের জন্য বিশাল এক প্ল্যাটফর্ম। এখানে বিভিন্ন দেশের তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাওয়া যায়, যা শেখার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যারা নিয়মিত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পায়, তারা পারফরম্যান্সের দিক থেকে অনেক উন্নতি করতে পারে। ভিন্ন কন্ডিশনে খেলে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতাও বাড়ে, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের লিগ ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং নিজেদের দক্ষতা অন্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক তারকাদের সঙ্গে একই দলে খেলা মানে তাঁদের কাছ থেকে টিপস নেওয়ার সুযোগ পাওয়া। বিশেষ করে লেগ স্পিনার হিসেবে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের কাছে তাঁদের ব্যাটিং ও কন্ডিশন বুঝতে পারার বিষয় নিয়ে আমার জানার চেষ্টা থাকবে। ড্রেসিংরুমে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সঙ্গে সময় কাটালে মানসিকভাবে আরও পরিণত হওয়া যায়, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক কাজে দেয়।’

এমআই