
ডিপিএলের বিতর্কিত আউট নিয়ে যা বললেন ইমরুল কায়েস
খেলা ডেস্ক
১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১২
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) একাধিক বিতর্কিত আউট নিয়ে সমালোচনা মেতেছে পুরো ক্রিকেট পাড়া। সুযোগ থাকার পরেও ব্যাটারের স্টাম্পড হওয়া এবং জেতার সুযোগ থাকা ম্যাচে উইকেট বিলানো মানতে পারছেন না কেউ। এ নিয়ে বিসিবির কমকর্তা শাহরিয়ার নাফিসও ‘ছি’ সম্বোধন করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
বিতর্কিত আউট নিয়ে চুপ থাকেননি কোচ রাজিন সালেহ। নিজের ফেসবুক একাউন্টে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি। এমনকি ক্রিকেটার শামসুর রহমান শুভও ফেসবুকে লিখেছেন ‘সিরিয়াসলি শেইম।’ এবার সেই তালিকায় যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস।
জাতীয় দলের সাবেক এই তারকার দাবি, আরেকটি দলকে সুপার সিক্সে উঠতে না দেয়ার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নেই এমন এক কাণ্ড ঘটিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে ইমরুল কায়েস বলেন, আজকে আমি হৃদয় থেকে ক্ষোভ নিয়ে কিছু কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি। মিডিয়া, ক্রিকেটার, সাংবাদিক, ধারাভাষ্যকার—সবাই আজ একটা ঘটনায় স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ। কারণটা খুব পরিষ্কার—ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আজ যে কাজটা হয়েছে, সেটা শুধু লজ্জাজনক না, এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেছে।
একটা দলকে সুপার লিগে উঠতে না দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে আরেক মাঠে দুই দল নিজেদের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে! এটা কী ধরনের নাটক? আজকের সেই ম্যাচের ভিডিও প্রমাণসহ নিচে রয়েছে—আপনারা নিজেরাই দেখুন, বিচার করুন।
ইমরুলের ভাষ্য, এই যদি হয় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অবস্থা, তাহলে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে কারা খেলবে? কাদের হাতে আমরা তুলে দিচ্ছি দেশের পতাকা? যারা মাঠে নামার আগেই ম্যাচের ফয়সালা করে নেয়, তাদের দিয়ে কী দেশের প্রতিনিধিত্ব হয়? লজ্জা! যাদের ব্যবহার করে এসব নোংরা খেলা খেলানো হচ্ছে, তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, কারণ ওরা আজ নিজেরাই নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে।
‘আমরা যারা বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখি, সেই স্বপ্নকে বাস্তব করতে দিনরাত খেটে যাচ্ছি—আর কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষ নিজেদের স্বার্থে গোটা দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চেষ্টা করছে উন্নতির, কিন্তু এইসব ঘটনাগুলো সেই চেষ্টাকেও মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছে।’
এমন সন্দেহজনক খেলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে ইমরুল কায়েস লিখেছেন, ‘আমি জোরালোভাবে দাবি জানাই—এদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা এই কাজে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। আর যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত আজকের ম্যাচ বাতিল করে পুনরায় রিশিডিউল করা উচিত। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এভাবে শেষ হতে দেওয়া যায় না। আজকে চুপ থাকলে, কাল হয়তো আর কিছু বলার সুযোগ থাকবে না।’
এমআই