নারী ফুটবলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার তিন শহর সিডনি, পার্থ ও গোল্ডকোস্টে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ‘বি’ গ্রুপ থেকে লড়াই করবে বাংলাদেশ নারী দল।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি টাউন হলে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ১২ দল নিয়ে ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে পট-৪ থেকে গ্রুপ ‘বি’তে ভাগ্য নির্ধারণ হয় ঋতুপর্ণাদের। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে চীন, উজবেকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া। ২০২৬ সালের পহেলা মার্চ থেকে এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে।

আজ টুর্নামেন্টের ড্র হলেও ফরম্যাট ও ফিকশ্চার আরো আগেই নির্ধারিত হয়েছিল। বাংলাদেশ বি গ্রুপ এবং বি গ্রুপের তৃতীয় নম্বর দল হওয়ায় সিডনি ও পার্থ দুই শহরে গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে। বি গ্রুপের ছয় ম্যাচের পাঁচটি রয়েছে সিডনির ওয়েস্টার্ন সিডনি স্টেডিয়ামে। 

শুধুমাত্র বি গ্রুপের তৃতীয় ও চতুর্থ দলের মধ্যকার ম্যাচটি পার্থের র‌্যাকটেঙ্গুলার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। বি গ্রুপের তৃতীয় ও চতুর্থ নম্বর দল বাংলাদেশ এবং উজবেকিস্তানকে প্রথম দুই ম্যাচ সিডনির পর তৃতীয় ম্যাচ খেলতে পার্থ রওনা হতে হবে। ফিকশ্চারে ভেন্যু ও তারিখ থাকলে ম্যাচের সময় এখনো দেয়নি এএফসি ও স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। 

এশিয়া কাপে তিন গ্রুপে ১২ দল খেলছে। প্রতি গ্রুপে চারটি করে দল। চার দল একে অন্যের সঙ্গে একটি করে ম্যাচ খেলবে। তিন ম্যাচ শেষে প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের পাশাপাশি তৃতীয় স্থানে থাকা দুই দলও খেলবে কোয়ার্টারে। বাংলাদেশের গ্রুপে চীন ও উত্তর কোরিয়া অত্যন্ত শক্তিশালী। ফলে বাংলাদেশকে মূলত উজবেকিস্তানকে হারাতে হবে। 

উজবেকিস্তানকে হারাতে পারলে এ এবং সি গ্রুপের তৃতীয় স্থানে থাকা অন্য দুই দলের চেয়ে গোল ব্যবধান বা পয়েন্টে এগিয়ে থাকলে বাংলাদেশ কোয়ার্টারে খেলার সুযোগ পাবে। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলে ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ খেলার সুবর্ণ সুযোগ। 

কোয়ার্টার ফাইনাল জয়ী চার দল সেমিফাইনাল খেলার পাশাপাশি সরাসরি ব্রাজিল বিশ্বকাপে সুযোগ পাবে। বিজিত চার দলের মধ্যে দুইটি প্লে ইন ম্যাচ হবে। ঐ প্লে ইন ম্যাচে জয়ী দুই দলও বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। ঐ ম্যাচের পরাজিত দুই দল আন্তঃমহাদেশীয় টুর্নামেন্টে বাছাইয়ে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ

এমআই