
কিরগিজ ক্লাবের কাছে পাত্তা পেল না ঢাকা আবাহনী
খেলা ডেস্ক
১২ আগস্ট ২০২৫, ২০:০৫
কিরগিজস্তানের এফসি মুরাস ইউনাইটেডের কাছে পাত্তাই পেল না ঢাকা আবাহনী। জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে অফের হোম ম্যাচে আবাহনীকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে মুরাস। এই জয় তুলে নিয়ে কিরগিজ ক্লাব তাদের প্রথম এএফসি আসরেই মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো।
ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই (৩ মিনিটে) কিরগিজ ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রথম গোলটি আসে। বাম ফ্ল্যাংক থেকে বাতসুলার দারুণ ক্রসে বক্সে লাফিয়ে এক প্রখর হেডে জুমাশেভ গোল করেন। আবাহনীর ডিফেন্ডাররা তাকে মার্কিংয়ে রাখতে ব্যর্থ হন, আর গোলরক্ষক মিতুল মারমাও হয়ে পড়েন নিস্তব্ধ দর্শক।
ঢাকা আবাহনী সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা চালায়, তবে প্রতিপক্ষের ঘাঁটিতে তেমন ভীতি সৃষ্টি করতে পারেনি। ম্যাচের ৭২ মিনিটে আবাহনীর একমাত্র বিদেশি সুলেমান দিয়াবাতে বল টেনে বক্সে মোরসালিনের কাছে পাস করেন। কিংস থেকে আবাহনীতে যোগ দেওয়া মোরসালিন সুযোগ পাওয়ার পরও গোলের দেখাতে ব্যর্থ হন।
ম্যাচের শেষের দিকে—দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়ে কিরগিজ ক্লাব ব্যবধান দ্বিগুণ করে জয় নিশ্চিত করে। আবাহনীর ডিফেন্ডার কামরুলের কাছ থেকে বল চেয়ে নিয়ে জুমাশেভ একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে দ্বিতীয় গোলটি করেন। গোলরক্ষক মিতুল মারমা এগিয়ে আসলেও গোল আটকাতে পারেননি।
কিরগিজস্তানিরা বলের দিক থেকে স্পষ্টভাবে আবাহনীর থেকে এগিয়ে ছিল। তাদের স্কোয়াডে ইউক্রেনের একাধিক খেলোয়াড় থাকায় শক্তি বাড়ানো হয়েছে, পাশাপাশি কিরগিজস্তান জাতীয় দলের পাঁচ জন ফুটবলারও রয়েছেন মুরাসের দলে।
অন্যদিকে, আবাহনীর একমাত্র বিদেশি খেলোয়াড় সুলেমান দিয়াবাতে। কোচ মারুফের নেতৃত্বে আবাহনী রক্ষণে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে আক্রমণে চেষ্টা চালিয়েও গোলের দেখা পায়নি।
মোহামেডান থেকে যোগ দেওয়া সুলেমান দিয়াবাতে ছিলেন আবাহনীর সর্বোচ্চ প্রাণবন্ত খেলোয়াড়। মাত্র দুই দিনের অনুশীলনে দারুণ মানিয়ে নেওয়া এই ফরোয়ার্ড ম্যাচে কিছুবার আক্রমণাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। ১৭ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে শট নিয়েও গোল করতে পারেননি।
পুলিশ থেকে আবাহনীতে আগত ফরোয়ার্ড আল আমিন ২৩ মিনিটে মিডফিল্ড থেকে থ্রু পাস পেয়ে বক্সে ঢোকার চেষ্টা করেন, তবে কিরগিজ ডিফেন্ডার তার শট ব্লক করেন। গোলরক্ষক মিতুল মারমাও প্রথমার্ধে বেশ কিছু দুর্দান্ত সেভ করেন, যার কারণে আবাহনী বিরতির সময় গোলশূন্য ড্র অবস্থায় ছিল।
এমআই