
ভুটান-সিঙ্গাপুর ম্যাচের আর্থিক হিসাব নিয়ে বাফুফের লুকোচুরি
খেলা ডেস্ক
২৩ আগস্ট ২০২৫, ২১:৪৮
জামাল-হামজারা জাতীয় স্টেডিয়ামে ৪ জুন ভুটান ও ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছিল। বিশেষ করে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হামজাদের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে দর্শকদের ঢল নেমেছিল। দুই মাস পেরিয়ে গেলেও ঐ দুই ম্যাচের আয়-ব্যয়ের পর বাফুফের নীট প্রাপ্তি কত সেটা এখনো জানা যায়নি।
আজ বাফুফে নির্বাহী কমিটির সভায় অন্যতম আলোচ্যসূচি ছিল ভুটান-সিঙ্গাপুর ম্যাচের আয়-ব্যয়। দু’টি আলাদা ম্যাচ এবং আয়-ব্যয় ভিন্ন হলেও আজকের সভায় দুই ম্যাচ মিলিয়ে একসঙ্গে আয়-ব্যয় উপস্থাপন করা হয়েছিল। এতে বাফুফে নির্বাহী কমিটির একাধিক কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো হিসাব পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় বাফুফের একাধিক সহ-সভাপতি ফিন্যান্স বিভাগের উপর উষ্মা প্রকাশ করেছেন। এক সহ-সভাপতি তো ক্ষীপ্ত হয়ে ফিন্যান্স বিভাগের স্টাফ রদবদলের দাবিও তুলেছেন, সভা সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
অনেক দিন পর ঢাকা স্টেডিয়ামে ফুটবলের জোয়ার ফিরেছে। টিকিটের অনেক চাহিদা ছিল। একেক গ্যালারির টিকিটের দাম ছিল একেক রকম। সিঙ্গাপুর-ভুটান ম্যাচে ভিআইপি, হসপিটালিট বক্স ও ভিভিআইপিতে কত টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অঙ্ক জানতে চেয়েছিলেন আজকের সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য।
ফিন্যান্স বিভাগ এই সংক্রান্ত তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ দিতে পারেনি। নির্বাহী কমিটির অনেকেই টিকিট ক্রয় করেছেন কিন্তু সেই ক্রয়ের তালিকায় কয়েকজনের নাম থাকলেও আবার কয়েকজনের নাম নেই এ নিয়েও অসঙ্গতি তৈরি হয়েছে। আজকের সভায় অনেক আলোচ্যসুচির মধ্যে দুই ম্যাচের আয়-ব্যয়ে সবচেয়ে বেশি সময় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস। তিনি টিকিট বিক্রির কার্যক্রম তদারকি করছিলেন। কম্পিটিশন কমিটির কাছে মিডিয়া একাধিকবার জিজ্ঞেস করেও টিকিট বিক্রির সুনির্দিষ্ট অঙ্ক জানতে পারেনি। কম্পিটিশন কমিটি বল ঠেলেছিল ফিন্যান্স কমিটির কাছে।
আজ বাফুফে নির্বাহী কমিটির সভা শেষে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আবার ভুটান-সিঙ্গাপুর ম্যাচের হিসাব প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। কেউ যদি টাকা পায় সেটা পরিশোধ করব, আবার আমরা যদি পাই সেটাও ফান্ডে আনব।’
বাফুফের বিগত কমিটি সরকারের ২০ কোটি টাকার হিসাব ঠিক মতো দিতে পারেনি। নতুন কমিটি সেটা উপলব্ধি করে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য সরকারের অর্থের সঠিক হিসাব প্রদানের জন্য আলাদা ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই হিসাবের স্বাক্ষর দাতাগণ বাফুফের মূল হিসাব স্বাক্ষর দাতারাই থাকবেন।
বাফুফের কেনাকাটায় আগে বেশ অসঙ্গতি পেয়েছিল ফিফা। এজন্য অনেক শাস্তিও হয়েছে। বাফুফের নতুন কমিটি প্রকিউরমেন্ট পলিসি আপডেট করেছে। বাফুফের প্রকিউরমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরি বলেন, ‘ফিফার গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা প্রকিউরমেন্ট পলিসি অত্যাধুনিক করেছি। আজকের সভায় সেটা সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছে।’
এমআই