Advertisement
Us Bangla Airlines
তামিম-ওকস ছাড়াও এক হাতে ব্যাটিংয়ে নেমে বীরত্ব দেখিয়েছেন যারা

তামিম-ওকস ছাড়াও এক হাতে ব্যাটিংয়ে নেমে বীরত্ব দেখিয়েছেন যারা

খেলা ডেস্ক

০৪ আগস্ট ২০২৫, ২৩:০০

২০১৮ সালের এশিয়া কাপে অবিশ্বাস্য বীরত্ব দেখিয়েছিলেন সাবেক ওপেনার তামিম ইকবাল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতে চোট পান এই বাঁহাতি। গুরুতর চোট পাওয়ায় ম্যাচের মাঝেই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল।

ব্যাট হাতে তামিমের সেই বীরত্ব আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। এক হাতে ব্যাট করে শেষ উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশকে পৌঁছে দেন লড়াই করার মতো স্কোরে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতে নেয় বাংলাদেশ। তামিমের সেই এক হাতে ব্যাট ধরা মুহূর্ত দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ছবি।

তামিমের সেই স্মৃতি যেন আজ মনে করিয়ে দিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস। আজ সোমবার লন্ডনের ওভালে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল মাত্র ১৭ রান, হাতে ১ উইকেট। ঠিক তখনই কাঁধে মারাত্মক চোট পেয়েও মাঠে নামেন ওকস। তার একটি হাত ছিল জার্সির ভেতরে গুটানো।

গাস অ্যাটকিনসন অপর প্রান্তে তাকে অবশ্য স্ট্রাইক দেননি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অ্যাটকিনসনকে বোল্ড করে স্বপ্নভঙ্গ ঘটান মোহাম্মদ সিরাজ। মাত্র ৬ রানে হেরে যায় ইংল্যান্ড। ফলাফল না এলেও ওকসের সাহসিকতা মনে রাখবে ক্রিকেট বিশ্ব। তবে এক হাতে ব্যাট করতে নামা তামিম-ওকসই প্রথম নন।

ম্যালকম মার্শাল, ১৯৮৪

ইংল্যান্ডের ক্রিস ব্রডের ব্যাট থেকে ছুটে আসা একটি বল ঠেকাতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের বাঁ হাতের বুড়ো আঙ্গুলে দুটি চিড় ধরে। তারপরও তিনি দলের প্রয়োজনে মাঠে নামেন। তৃতীয় দিনে মার্শাল ব্যাট হাতে মাঠে নেমে সবাইকে অবাক করে দেন। ব্যাটও করেছিলেন এক হাতে।

সেলিম মালিক, ১৯৮৬

সেলিম মালিকের অবস্থা ছিল অনেকটা ওকসের মতোই। বাঁ হাত প্লাস্টার করে স্লিংয়ে ঝোলানো ছিল তার। ১৯৮৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফয়সালাবাদ টেস্টে প্লাস্টার করা হাত নিয়েই ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান।

গ্রায়েম স্মিথ, ২০০৯

গ্রায়েম স্মিথ ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে একটি টেস্ট ম্যাচ বাঁচাতে ভাঙা হাত নিয়ে মাঠে নামেন। ৮ ওভার ২ বল বাকি ছিল তখন ম্যাচের। স্মিথ মিচেল জনসন, ডগ বলিঞ্জারের একের পর এক বল ঠেকিয়ে যাচ্ছিলেন এক হাতেই।

এমআই