Advertisement
Us Bangla Airlines
‘২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, আমার জন্য তা বড় ধাক্কা ছিল’

‘২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, আমার জন্য তা বড় ধাক্কা ছিল’

খেলা ডেস্ক

১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৪৭

জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে ২০২০ সালে ওয়ানডে ক্যাপ্টেন্সির ইতি টেনেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর বাংলাদেশের দলের নতুন অধিনায়ক হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। নেতৃত্ব নেওয়ার আগে শর্ত দিয়েছিলেন তামিম, তাকে দিতে হবে দীর্ঘমেয়াদী সময়। তামিমের আবদারও রেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নেতৃত্বের মেয়াদ পেয়েছিলেন এ ক্রিকেটার।

আনকোরা তামিমকে অধিনায়কত্ব দেওয়ায় সমালোচনায় মেতেছিলেন বিশ্লেষক-ভক্তরা। কিন্তু ক্যাপ্টেন হিসেবে খুব একটা খারাপ করেননি চট্টলার সন্তান। দক্ষিন আফ্রিকাকে তাদের মাটিতে সিরিজ হারানো ছিল তামিমের আমলের সবচেয়ে বড় চমক। অধিনায়কত্বের কালে নিজের মতো দল গুছিয়ে ফেলেছিলেন এ বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপেই যেতে পারেননি তামিম ইকবাল।

বিশ্বকাপে তামিমের না যাওয়ার কারণ অবশ্য কোনো ইনজুরি নয়। বরং তামিমের নাটকীয় অবসর, আবার দলে ফিরে আসা এবং ক্যাপ্টেন্সি পাওয়া; পরবর্তীতে উভয়ের প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে শেষমেশ তামিম ছাড়াই ভারতে পাড়ি জমায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গোছানো দলে হুট করে ভিড় করা মনমালিন্য শেষ পর্যন্ত ভালো ফলাফল বয়ে আনেনি।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ফের অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। সেখানে ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রসঙ্গও তুলেছেন দেশসেরা এ ওপেনার। ফেসবুকে তামিম বলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, আমার জন্য তা বড় ধাক্কা ছিল, যেহেতু ক্রিকেটীয় কারণে আমি দলের বাইরে যাইনি। তারপরও আমি যেখানেই গিয়েছি, ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে বলেছেন, আমাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান।’

শুধু ক্রিকেট ভক্তরা নয়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তামিমকে দলে চেয়েছেন টাইগারদের বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এমনকি তামিমের ছেলে আরহামও আরেকবার লাল-সবুজের জার্সিতে দেখতে চেয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু কারো আবদারকে আমলে না নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক।

এমআই