
লাল-সবুজের জার্সিতে যেমন ছিল তামিমের ক্যারিয়ার
খেলা ডেস্ক
১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:০১
আক্ষেপ, অভিমান কিংবা সম্ভাবনা- সব ধারণাকে উড়িয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকটকে পুনরায় বিদায় জানালেন তামিম ইকবাল। গতকাল শুক্রবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে তামিম লিখেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’
তামিম এমন সময়ে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন, যখন তাঁকে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল টাইগার ভক্তরা। শুধু ফ্যানরা নয়, তামিমকে পুনরায় লাল-সবুজের জার্সিতে দেখতে চেয়েছিলেন বিসিবি বস ফারুক আহমেদ। এমনকি আট জাতির টুর্নামেন্টে তামিমকে ঘিরে পরিকল্পনা সাজানোর ছক আঁকতে চেয়েছিলেন নির্বাচকেরা।
ফেসবুকে তামিম জানান, অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যে কোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।
অবসরের ঘোষণার মাধ্যমে জাতীয় দলের জার্সিতে ইতি টেনেছেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক। তবে ঝলমলে অধ্যায় শেষ করার আগে রেকর্ড বইয়ে ভালোভাবেই ছাপ রেখেছেন এ বাঁহাতি। এমনকি তিন সংস্করণে ব্যাট হাতে রেখেছেন সর্বোচ্চ অবদান।
একনজরে তামিমের ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ার
টেস্ট: ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের ডানেডিনে সাদা পোশাকে অভিষেক হয় তামিমের। এরপর টেস্টে ৭০ ম্যাচ খেলেন এ বাঁহাতি ওপেনার। ১৩৪ ইনিংসে ৩৮.৮৯ গড়ে ৫১৩৪ রান করেন তামিম। ৩১ ফিফটি ও ১০ সেঞ্চুরির ক্যারিয়ারের এ সংস্করণে তামিমের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২০৬ রান।
ওয়ানডে: পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথম পা রাখেন তামিম ইকবাল। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভিষেক হওয়া তামিম এ সংস্করণে খেলেছেন ২৪৩ ম্যাচ। যেখানে ১৪ শতক আর ৫৬ অর্ধশতকে করেছেন ৮৩৫৭ রান। ৩৬.৬৫ গড়ে রান করা ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তামিমের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫৮ রান।
টি-টোয়েন্টি: বিশ ওভারের ক্রিকেটে তামিমের অভিষেক হয় ২০০৭ সালে। মন্থর গতির ইনিংস খেলার অভিযোগে এ সংস্করণ থেকে তামিম বিদায় নিয়েছেন অনেক আগেই। দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে একমাত্র সেঞ্চুরি করা তামিম খেলেছেন ৭৮ ম্যাচ। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ২৪.০৮ গড়ে করেছেন ১৭৫৮ রান। স্ট্রাইক রেট ১১৬.৯৬।
এমআই