
বিপিএল শেষে কোন ক্রিকেটার কত টাকা পেলেন
খেলা ডেস্ক
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৯
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর শুরু হয়েছিল গত ৩০ ডিসেম্বর। ৪০ দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা গতকাল শুক্রবার শেষ হয়েছে। তাতে রেকর্ড করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। রানার্স আপ হওয়ার স্বাদ পেয়েছে এক যুগ পরে বিপিএলে ফেরা চিটাগং কিংস। সবমিলিয়ে নানান সমালোচনা আর বিতর্কের জন্ম দেওয়া বিপিএল শেষবেলায় রোমাঞ্চের জন্ম দিয়ে ইতি টেনেছে।
বিপিএল ফাইনাল শেষে ১০ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এদের মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন ৬ ক্রিকেটার। যার মধ্যে টুর্নামেন্ট সেরা, ফাইনাল সেরা, ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে সেরার পুরস্কার জিতেছেন তারা। এতে মিলেছে আর্থিক পুরস্কারও। সবমিলিয়ে বিপিএল শেষে কোন ক্রিকেটার কত টাকা পেলেন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
মেহেদী হাসান মিরাজ: ব্যাট-বল দুই বিভাগেই সমান পারফর্ম করায় মেহেদী হাসান মিরাজের হাতেই উঠেছে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার। খুলনা টাইগার্সকে ফাইনালে তুলতে না পারলেও ব্যক্তিগতভাবে কীর্তি গড়েছেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ব্যাট হাতে ১৪ ইনিংসে ৩৫৫ রান ও বোলিংয়ে শিকার করেছেন ১৩ উইকেট। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে মিরাজ ১০ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন।
মোহাম্মদ নাইম শেখ: মিরাজের মতোই তার দল খুলনার আরেক ক্রিকেটার বিপিএল জুড়ে ব্যাট হাতে ঝলক দেখিয়েছেন। সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হিসেবে টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কারটি উঠেছে মোহাম্মদ নাইম শেখের হাতে। এবারের বিপিএলে একটি সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটিতে তিনি ৫১১ রান করেছিলেন। যা বিপিএল ইতিহাসের তৃতীয় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। সেরা ব্যাটার হয়ে নাইমের হাতে উঠেছে ৫ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার।
তাসকিন আহমেদ: ফাইনালে নাইমের রান আর কেউ ছুঁতে পারার সম্ভাবনা না থাকলেও, সুযোগ ছিল সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার। যদিও সেই কীর্তি গড়তে চিটাগাং কিংসের খালেদ আহমেদকে ৫ উইকেট নিতে হতো, যা ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে অনেক কঠিনই। কিন্তু এই ডানহাতি বোলার কোনো উইকেট পাননি। ফলে ১২ ইনিংসে ২৫ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা বোলার হয়েছেন তাসকিন আহমেদ। দুর্বার রাজশাহীর এই পেসার পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।
মুশফিকুর রহিম: ব্যাট হাতে পুরো বিপিএলে নিষ্প্রভ থাকলেও টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কারটি জিতেছেন মুশফিকুর রহিম। যদিও মাঝে আঙুলে চোট থাকায় একাধিক ম্যাচে উইকেটকিপিং করেননি এই ক্রিকেটার। তবুও আসরজুড়ে উইকেটের পেছনে ১২টি ক্যাচ ও ২টি স্টাম্পিং করে মুশি সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার জিতেছেন। বরিশালের এই উইকেটরক্ষক পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা।
তানজিদ হাসান তামিম: নাম ও মালিকানা বদলে এবারের আসরে অংশ নিলেও খুব একটা বলার মতো পারফর্ম করতে পারেনি ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে ব্যাট হাতে ব্যক্তিগতভাবে ঠিকই সফল ছিলেন দলটির ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ১২ ইনিংসে তিনি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮৫ রান করেছেন। ফলে সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কারটি উঠেছে তার হাতে। এই কীর্তি গড়ে তানজিদ তামিম ৩ লাখ টাকা অর্থপুরস্কার পেয়েছেন।
তামিম ইকবাল: বরিশালকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে বড় লক্ষ্য তাড়ায় দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম ইকবাল। ২৯ বলে ৯ চার এবং ১ ছক্কায় করলেন ৫৪ রান। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে তিনি দলকে এমন এক অবস্থানে রেখে আউট হয়েছেন, যেখান থেকে বরিশালকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বেশ বেগ পেতে হতো চিটাগাং কিংসকে। ফলে ম্যান অব দ্য ফাইনালের ক্রেস্ট উঠেছে তামিমের হাতে, একইসঙ্গে তিনি ৫ লাখ টাকাও পেয়েছেন।
এমআই